পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০১২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
ছবি
বোবা বোধ ইন্দ্রগুলি চল নেড়ে চেড়ে দেখি চক্ষু তুমি কি দেখো ? চশমা সমেত সেই কবে থেকে ক্লান্ত আমি দৃষ্টি বিকল আদি অন্তে ! কন্ঠে তাহার মধু মাখা ভাষা কর্ণ কুহরে জাগেনা নতুন আশা ঘ্রানের শক্তি আজও কি আছে অবশিষ্ট সোদা গন্ধ ঘিরে থাকে যেন মোহাবিষ্ট ! জিহ্বা এত দীর্ঘ হয় ! জিরাফ নয়তো ? লালসা দেখো লাগাম ছিন্ন দিগন্ত বিস্তৃত কোনো বোধ আজ আর নাই অবশেষ স্নায়ু গুলি তবে কেবলি বিকল উড়েনা তাইত আকাশে বিফল স্বপ্ন অবিরত ! জাহিদ ডাক্তার ২৬ শে নভেম্বর মাধবদী ২০১২ খ্রি :
ছবি
ছবি
লাটিম ওই আমলেও একটা লাটিম ছিল আমার ঘুরত অনেক জোড়ে সাড়া পড়ত ভর দুপুরে চেনা এক দুপুর সেই দুপুর মনে আছে তোর ? মনে থাকলেও কি আর না থাকলেই কি কিছুই যায় আসেনা তাতে ! এখন সন্ধা রাত আসবে একটু পর তার পর আবার সকাল হয়ে দুপুর ! তবু কোনো কোনো দুপুরকে সারা জীবন মনে থাকে এর কোনো মানে হয় ? মন তুমি বেজায় বোকা খামাখা এত ভাব কেন ভাবনা গুলোকে মুক্ত করে দাও যেখানে খুশি চলে যাক ! তার পর চল আমরা আবার ফিরে যাই ! সময়কে পেছনে ফেলে দুরে অনেক দুরে ! যেখানে সময়ের কোনো নাম থাকেনা ! জাহিদ ডাক্তার ১৬ ই নভেম্বর ভুলতা নারায়নগঞ্জ ২০১২ খ্রি :

Cricket

ছবি
ক্রিকেটীয় জাতীয়তাবাদ ধর্মীয় জাতীয়তা ফলাফল গনহত্তা ভাই বধে ধর্মের ভাই ইতিহাসে খুব কম নাই '৭১ ভুলিনাই এই হলো সারবেত্তা ! চাষা ভূষার ছেলে পুলে খেলছে দেখছে জগৎ মিলে চাঁদ তারার নর্তন কীর্তন দেখ চেয়ে বিবর্তন ! মীর জাফর ছিল যত যুক্তি তাদের কত শত সবাই যখন গোলাম সাজে চাষা ভুষা মান রাখে ! মোদের ছেলেও ক্রিকেট খেলে জগত দেখুক চক্ষু মেলে বাজান রে তোর ভয় নাই খেলে হারলে লজ্জা নাই ! খেলার মাঠে সবাই ভাই দেশের মান রাখা চাই ! জাহিদ ডাক্তার ঢাকা ১৬ ই নভেম্বর ২০১২ খ্রি :
ছবি
জল জংলার দেশ ( হৈমন্তী সুর্যাস্ত - ১ )
রাজনীতি গণতন্ত্র পরিবারতন্ত্র ইত্যাদি ভাবনা পূর্ব প্রকাশিতের পর : মধ্যে অনেক বেশী বিরতি হয়ে গেল পাঠকের মনেরাখা কঠিন পূর্বের কথা ! আমারও মনে থাকেনা তাই এই লিখে রাখা ! আমি যেহেতু পেশাদার লেখক নই তাই এমন হতছে অনেকটা সেই জেনারেলদের রাজনীতির মত যারা দেশের অতন্দ্র প্রহরী আর তাদের অতিরিক্ত দায়িত্ব রাজনীতি করা ! যা কেবল দেখাযায় আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশ গুলিতে যেখানে আগে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল তারপর দল গঠন ! ফলাফল সেই কিচ্ছা ভারত পাকিস্তান দেশ ভাগের পর ভারত শাসিত হতে লাগলো রাজনীতিকদের দিয়ে আর পাকিস্তান জেনারেলদের দিয়ে আর তাই আল্লার আশির্বাদ পেল হিন্দুস্থান আর পাকিস্তান মার্কিনিদের আশির্বাদে চলতে থাকলো ! আমাদের বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর মাত্র কয়েক বছর রাজনীতিকদের শাসনে থাকার পর সেই পাকিস্তানী ঐতিহ্য জেনারেলতন্ত্র গণতন্ত্র বুটের নিচে ! অনেকটা রক্ষক ভক্ষকের মত আর উন্নত গণতান্ত্রিক দেশ গুলো তাদের ঈমানী দায়িত্ব পালন করতে লাগলেন ! অন্ধের হস্তি দর্শনের মত আমরা আমজনতা ফ্রুট পান করে আমের স্বাদ ভুলতে বসেছি ! দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে শুরু হলো ক্যাডারতন্ত্র শিক্ষকরা বলতে শুরু করলেন মারহাবা মারহাবা ...
ছবি
কেবলা এখন মার্কিন বুঝি মোল্লা তুমি মাল্লার মাঝি গামছা ধারী বেশতো পেতে বসে যাও আসবে হাড়ি খাও ! তুমিতো কম নও ডিগ্রী ধারী পাতলে থালা বন্ধু ভারী পাবে কারী কারী ওই মুলুকে শশ্রুধারী বাংলার গাজী ক্ষমতার লোভে ফের ডিগবাজী ? আহারে ওই বয়সে প্রত্যেকে বুঝি ভাগ্গিস আজও দন্ত বিকাশি না হাসলেও হাসছি ভারী বীরের মুখে আজ একি শুনি ! পদ লেহন ? নাকি পরা পানি ! আমরা নাহয় ক্ষুদ্র জাতি বাঁচিবার চাই এইতো আকুতি কর জোড় শুধু এই মিনতি ! জাহিদ ডাক্তার ১১ ই নভেম্বর ঢাকা ২০১২ খ্রি :
ছবি
কবিতার স্রষ্ঠা কবে যেন কোথায় পড়েছিলাম ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় কবি কিশোর সুকান্তের লেখা তবু এভাবে শুরু করলাম কাব্য করা আরকি ! কবি ও অকবি যাহা বল মরে মুখ বুজে তা সই সবি এটা নজরুলের লেখা ! ভাবনা আমার কি তবে আর লিখব আমি ? কবিতার কথা বলে একটা প্রবন্ধ বই লিখেছিলেন শুদ্ধতম কবি জীবনানন্দ বিশ্ব কবি থেকে শুরু করে পূর্বাপর অনেক কবি ও কবিতা উপনিষদ থেকে বিংশ শতাব্দী কি নাই তার নিজব্দি ! আশ্চর্য সমসাময়িক কবি নজরুল কিবা সুকান্ত কাউকেই উল্লেখ করেননি ব্যাপারটাকি ভাববার আছে বৈকি ! শুধু সমকালীন স্রেষ্টথ্থের চিন্তায় ; নাকি শিল্পতীর্ণ কাব্য হয়নি ! স্রষ্ঠারা বড় বেশি দাম্ভিক স্বার্থপর না হয় অভিমানী জীবনভর ! জাহিদ ডাক্তার ৭ ই নভেম্বর বেলাব ২০১২ খ্রি :
ছবি
কি জানি সত্য কিনা জানিনা আশ্চর্য না ? যা ভাবছিলাম তাই হয়ে জাত্ছে না নাজেল হচ্ছে এমনও না এমনও না যে কোনো আছর আছে তাও শোনা যায়না ! জিন এনালাইসিস করা ঠিক না তাই বেড়ে গেছে ওরা ওদের কথা সততি হয়ে যায় তবে ভোটার না আই ডি ছাড়া হয়ত কেউ চিনবে না তবু বলা যায়না ভাগ্গিস কিচ্ছু খায়না ! হা না দিয়ে ঠিক যাচাই বাছাই তবু থাকে তো কাছেই জান না ? অনেক বেশী না ! তবু অবহেলা ঠিক না কেউ কিনতু একা না ! বিকাশ কিন্তু একনা তাই না বাঁচতে ইচ্ছে হয়না ? জাহিদ ডাক্তার ৬ ই নভেম্বর ২০১২ খ্রি :
ছবি
চির সবুজ আয় কিছু গাছ লাগাই যেন শীতেও পাতা থাকে পাতায় পল্লবে কুড়িতে প্রস্ফুটিত হবার সুযোগ থাকে ! আয় সভ্য মানুষের মত প্রাকিতিক আচরণে হই অব্ভোস্ত অন্য পাঁচটা প্রাণীর মত জাতের নামে নাহয় যেন বজ্জাতি শুধু মাত্র করবনা আর মিথ্যা কাজে হুজ্জতি ! পাপের রাজা মিথ্যা বলা অনেক ক্ষতি ! বিশ্ব মাঝে কটা আছে এমন সবুজ বনবনানী অটবি ! আমরা হব এন্ভীয়র্মেন্ট ফ্রেন্ডলী ! এক অপরূপ সৃষ্টি ! জাহিদ ডাক্তার ৫ ই নভেম্বর ২০১২ খ্রি :
বাড়ি নেই অবনী দিন কাল ভালো জাতছিল না বড়দার দেশে যে হারে মানুষ বাড়ছিল কদর কমছিল ডাক্তার কবিরাজের মিস্তিরি নয় ইঞ্জিনিয়ার ! পরতি বাজার শিক্ষার ! অগত্তা ভিটে টুকু কবিরাজের ভাইয়ের নামে দলিল করে দিয়ে মা মেয়ের হাত ধরে ছোট মেয়ে নাকি বড় কে জানে একমাত্র সাহস অবনী তখন ওই বছর পাঁচেক বয়স ! দেশ ছেড়ে চলে যায় ওরা সে অনেক দিনের কথা ! আমাদের বয়সী কেউ ছাড়া কারো মনে থাকার কথা ? মেধাবীদের কথা আলাদা ওরা রাতের স্বপ্ন পর্যন্ত বলে দেয় মনে রাখে শুধু তা ভেবনা রীতিমত পেটেন্ট করে বাজারে বিকোয় সেই স্বপ্নের ওষুধ ! তবু কাল মধ্যরাতে ওর বন্ধুরা কি যেন নাম বাপু কি করে বলি ; খোজা খুজি করছিল নাম ধরে আর ডাকছিল ওর নাম "অবনী বাড়ি আছিস ?" আমি বলতে জেয়ে চুপ করে গেলাম অথই মানে আমার বড় কননা চিতকার করে বলে ঘরের দুয়ার খোলা বাবা ! অবনী আপুতো বাড়ি নেই গেল কোথা ? আমি মনে মনে বলি বোকা ! যাবে আর কোথা এই তো দেখলাম হেথা যাবে আর কোথা মানে হয় হেথা নয় সেথা কথার কথা বাড়ি নাই এই যা ! জাহিদ ডাক্তার ৫ ই নভেম্বর মাধবদী নরসিংদী ২০১২ খ্রি :
ছবি
হৈমন্তী সকাল থেকে টিপ টিপ বৃষ্টি ! তাই বুঝি রবি এই ঋতুতে নাই সৃষ্টি তোমার হৈমন্তী কাব্য নয় গল্প বাসি শেফালি গাহে বিরহ গান দিবা নিশি ! কার্তিক আমি নহি দূর্গা পুত্র তার শ্রাদ্ধ অপরূপে আসিবে ভরা ক্ষেত যত্রতত্র ! রাজপুত্র নহে তুমি আমি কেহ আমারি মত এক সর্বহারা কহে হেমন্তে তোমার সাথীরা গাহে ফসলের গান নবান্নে আত্মহারা যারা অঘ্রানে ভরা ক্ষেত মুজুর তাহারা ! এত কবি কেহনাই নবী এই ভূমে আমাদের ঋতু তাই নাহি চুমে মরুভূমে আমাদের ধরণী ষড় ভুজে ফসলের গান কোন তস্করে লুটিল মান লক্ষী সরার প্রাণ ! বেদুইন কহ কবে ছিল তাহার অন্তর অমলিন আদি অন্ত আছে অনাবিল জলে অন্তমিল ! বাশি বাজিবেনা আর গাহিবেনা ক্ষতিকি ? সবকিছু গাই গান বিরহগীতি নির্ভিক ! নার্গিস গোমতি বিরহে নজরুল ফেরেকি প্রাণে হায়রে পিটি লেফট রাইট হতচ্ছাড়া রেঙ্গুনে ! বাকুরায় দুর্ভিক্ষ ভাগ্যহত ভালবাসা বোঝেনা প্রেম অনাহুত ! যমুনাও শুকায় চর জাগে পদ্মায় মাঝি দেখো কাস্তে নয় সওয়ারী বায় ঢাকার আঙ্গিনায় ! তাহারা করে পাশ্চাত্য চিত্কার গনিকা মনা ! লক্ষী সরায় জলের কনা অশ্রু রসে বোনা ধুমায়িত ধুপি বিকোয় বিকেলে কলরব শোনা ! বাসরির বাসর শু...
ছবি
সভ্যতার ক্রমবিকাশ কোটি কোটি বছর ধরে পথ হাটিলাম পৃথিবীর পথে ! অগ্নি প্রস্তর লৌহ তাম্র হয়ে ডিজিটাল যুগে ! অনেক হাটিলাম আমি শুধু পুস্তকে নয় আপন জীবনে পেশী শক্তিতে নয় মস্তকে আপন অনুভবে কখনো উর্দ্ধ শ্বাস কখনো নিশ্চিন্তে ! অনেক খুশি আমি আপন ভুবনে ! ওখানে শুধুই আমি জাগরণে অজ্ঞানে আমায় কেবল ভালবাসি আমি নিশীথে দিবসে ! সদাই এতিম আমি শ্বর্জে বীর্যে নহি তাইত আজও গাহি স্থুল মেদিনী নহী আজন্ম পাপী তাই পরাভব নাহি জানি সংশপ্তক চেন কেহ তা কেমনে মানি ! বিনিময় আদিতে ছিল যেমন আজিকে আছে ফুটপাথ বদল হয় হয়না রাজপথ পাছে তাহারা আসে যাহারা কাজের মাঝে সদাই নিমগ্ন থাকে জগৎ তো সৃজিছে তারা আর যারা বাকে বাকে নিত্য লোভী পাপী যানে আর নাহি জানে ! আজ এই দিনে খুনি তারা যারা বন্দী হত্যা করে নিজ আমানতে কারা অন্তে গুপ্তে উহারা মানবতার কি কথা কহে দেখিলাম আরো সাধ জাগে পরাজয়ে নহে ! সেই পুরাতন কথা অন্যায় যে করে অন্যায় যে সহে জানিও প্রকৃতি তারে সমান দহে ! জাহিদ ডাক্তার ঢাকা ৩রা নভেম্বর ২০১২ খ্রি :
ভালবাসা কারে কয় ভালবাসা এক অস্তিত্বহীন অনুভবের নাম ! কেউ কেউ দুরথেকে কেবলি ভালোবেসে যায় কেউ তারে অনুভবে পায় কল্পনায় ! সকল ইন্দ্রিয় তাকে স্পর্শ্ব করতে পারেনা সকল সময় সকল বয়সে তার রূপও এক থাকেনা ! নারী পুরুষ কিবা লাল নিল কোনো প্রকারভেদ সম্ভব নয় ! ইহা কেবল দান করা যায় যায় ভালোবেসে যাওয়া ! গ্রহণ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা প্রায়শও কেবলি প্রলুব্ধ করে বার বার ! জাহিদ ডাক্তার ঢাকা ২ রা নভেম্বর ২০১২ খ্রি :
রীদয়ের জং ধরা যত কপাট ভাঙ্গিয়া দাও এতক্ষণে মনে হতছে তাহারা এক অচলায়তনে বন্দী তাহারা না পারে গিলিতে না পারে উগ্রাইতে ইহাকেইকি বলে ত্রিশঙ্কু অবস্থা ? মিথ্যার এই রূপ অবস্থায় পরতেই হয় ! জানিলে কষ্ট বারে বই কমে না তবু জিজ্ঞাসার শেষ হয়না একবার জানিতে শিখিলে আর নিস্তার নাই ! খরস্রোতা নদী দেখিয়াছি ! আপন পর কিচ্ছু মানেনা যাহা পায় তাহাই ভাসাইয়া লইয়া যায় ! ঘর বাড়ি পশু গবাদি কি নাই তাহাতে বানের জলের এমনি জোর ! শুধু পারেনা মত্সকে ভাসাইতে ! সে কেবল স্রোতের বিপরীতেই উজাইতে চায় ! খোলসে পুটি পাবদা এমনকি ডান কানা পর্যন্ত ! জলে যাহারা বাস করে তাহারা কি কুমিরকে জানেনা ? বোধ করি নিশ্চই জানে তবু পালায়না ! সুতরাং জলে বাস করিবার অধিকার কেবল যাহারা জলজ তাহাদেরই ! সাগর সকল কিছু গ্রাস করে খরস্রোতা নদীয় তাহার বসে ! তাই বলিয়া আমরা তাকে ভালোবাসিবনা ? ইহা কেবল কাপুরুষদেরই সাজে স্রোতের অনুকূলে চলা ! জয় বাংলা ! জাহিদ ডাক্তার ঢাকা ২র নভেম্বর ২০১২ খ্রি :