Bangla new year
বাঙালির বর্ষবরণ
১ বৈশাখ বাঙলা বর্ষের শুরু ! পৃথিবীর সকল জাতি যাদের পঞ্জিকা আছে সবাই নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযাই আমাদের মত নববর্ষ উদযাপন করে ! লাতিনদের বর্ষবরণ উত্সব খুব বেশি স্বারম্বরে উদযাপিত হয় ! ইংরাজী নিউ ইয়ার প্রায় সবদেশেই কম বেশি পালন করে কারণ প্রায় সকল দেশেই নিজস্ব পঞ্জিকার পাশাপাশি ইংরাজি ক্যলেন্ডার চালু আছে ! আরবরা হিজরী বর্ষ পালন করে তা তাদের নিজস্ব ঢঙে !
বাঙালির নববর্ষই শুধু নয় প্রতিটি জাতি বর্ষবরণ করে তাদের নিজস্ব জাতীয় ঐতিহ্য সংস্কৃতিক রীতি অনুজাই আর এই জাতীয় ঐতিহ্য কখনো ধর্ম বর্ণের উপর কেবল নির্ভর করেনা কারণ প্রত্যেক জাতিরই বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের সমন্নিত ঐতিহ্য কৃষ্টি শিল্প সাহিত্য ইত্যাদি রয়েছে যেমন বাঙালির আছে হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিস্টান সহ আরো ছোট বড় ধর্মালম্বী মানুষের ধর্মীয় রীতিনীতি সহ এক অভিন্ন জাতিসত্বা যার প্রতিফলন দেখা যায় কেবল এই বর্ষবরণের উত্সবে তাই সেই বর্ষবরণ উত্সব পায় এক বৃহৎ সার্বজনীন মাত্রা যেখানে থাকেনা কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের বিধিবিধান তাই সমগ্র জাতির কাছেই সেই উত্সব থাকে মহামিলনের ক্ষেত্র হয়ে আমরাও তাই বলি বাঙালির প্রানের উত্সব ১ লা বৈশাখ !
আমাদের প্রায় সকল কবি সাহিত্যিকরা এই বৈশাখ নিয়ে রচনা করেছেন কবিতা গেয়েছেন গান শিল্পীরা একেছেন ছবি যা সর্বকালেই হয়েছে সকল মানুষে প্রানের কথা যা সবাই করেছে রীদয়ে লালন যার মূলসুর থেকেছে সার্বজনীন ! যদিও বিভিন্ন ধর্ম ব্যবসায়ী চক্র যুগে যুগে চেষ্টা করেছে আমাদের এই সার্বজনীন উত্সবকে ধর্মের দোহাই দিয়ে সংকীর্ণ গন্ডিতে আবদ্ধ করতে কারণ আমরা সবাই জানি আমাদের এই বাঙালি জাতিকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জাতির মানুষরা যুদ্ধ বিগ্রহ চাপিয়ে দিয়ে করেছে বিভক্ত করেছ শাসন লুটেছে সম্পদ বাধিয়েছে দাঙ্গা করেছে প্রাণহানি ঠিক তেমনি একটা পরিবেশ তরী করেছিল এই দেশের এক শ্রেনীর সুবিধাবাদী ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্টি যেমন করে একদিন পাঞ্জাবিরা আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ হত্যা ধর্ষণের উত্সবের দাতভাঙ্গা জবাব দিয়ে বাঙালিরা পেয়েছিল বাংলাদেশ ! অবাক বিশ্বয়ে জগৎ দেখেছিল খন্ডিত করেও বাঙালিকে দমানো যায়নি হাজার বছরের বঞ্চিত নিপীড়িত জাতি মুজিব নামের এক আপসহীন পুরুষের হাত ধরে পেয়ছে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা যার জন্যে যুগযুগ ধরে আত্মহুতি দিয়েছে এজাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা একমাত্র মুক্তিযুদ্ধেই আমরা পাকি আর তাদের দাস রাজাকারদের হাতে প্রাণ দিয়েছে ত্রিশ লক্ষ বাঙালি নারী পুরুষ সম্ভ্রম হারিয়েছিল লক্ষ লক্ষ বাঙালি নারী ! পরাজিত সেই রাজাকার আলবদর আর তাদের দোসররা এবারের বর্ষবরণের উত্সবকে করেছিল অনিশ্চিত সেই '৭১ এর মত ধর্মাবরণে সৃষ্টি করেছিল সংকট যাতে বাঙালি পালন করতে না পারে তার প্রানের উত্সব কিন্তু বীর বাঙালি সকল ষড়যন্ত্র সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে পালন করলো ইতিহাসের সর্ব বৃহৎ সার্বজনীন বর্ষবরণ উত্সব !
জাহিদ ডাক্তার
১ লা বৈশাখ ১৪২০ বঙ্গাব্দ
১৪ ই এপ্রিল ২০১৩ খ্রি :
১ বৈশাখ বাঙলা বর্ষের শুরু ! পৃথিবীর সকল জাতি যাদের পঞ্জিকা আছে সবাই নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযাই আমাদের মত নববর্ষ উদযাপন করে ! লাতিনদের বর্ষবরণ উত্সব খুব বেশি স্বারম্বরে উদযাপিত হয় ! ইংরাজী নিউ ইয়ার প্রায় সবদেশেই কম বেশি পালন করে কারণ প্রায় সকল দেশেই নিজস্ব পঞ্জিকার পাশাপাশি ইংরাজি ক্যলেন্ডার চালু আছে ! আরবরা হিজরী বর্ষ পালন করে তা তাদের নিজস্ব ঢঙে !
বাঙালির নববর্ষই শুধু নয় প্রতিটি জাতি বর্ষবরণ করে তাদের নিজস্ব জাতীয় ঐতিহ্য সংস্কৃতিক রীতি অনুজাই আর এই জাতীয় ঐতিহ্য কখনো ধর্ম বর্ণের উপর কেবল নির্ভর করেনা কারণ প্রত্যেক জাতিরই বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের সমন্নিত ঐতিহ্য কৃষ্টি শিল্প সাহিত্য ইত্যাদি রয়েছে যেমন বাঙালির আছে হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিস্টান সহ আরো ছোট বড় ধর্মালম্বী মানুষের ধর্মীয় রীতিনীতি সহ এক অভিন্ন জাতিসত্বা যার প্রতিফলন দেখা যায় কেবল এই বর্ষবরণের উত্সবে তাই সেই বর্ষবরণ উত্সব পায় এক বৃহৎ সার্বজনীন মাত্রা যেখানে থাকেনা কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের বিধিবিধান তাই সমগ্র জাতির কাছেই সেই উত্সব থাকে মহামিলনের ক্ষেত্র হয়ে আমরাও তাই বলি বাঙালির প্রানের উত্সব ১ লা বৈশাখ !
আমাদের প্রায় সকল কবি সাহিত্যিকরা এই বৈশাখ নিয়ে রচনা করেছেন কবিতা গেয়েছেন গান শিল্পীরা একেছেন ছবি যা সর্বকালেই হয়েছে সকল মানুষে প্রানের কথা যা সবাই করেছে রীদয়ে লালন যার মূলসুর থেকেছে সার্বজনীন ! যদিও বিভিন্ন ধর্ম ব্যবসায়ী চক্র যুগে যুগে চেষ্টা করেছে আমাদের এই সার্বজনীন উত্সবকে ধর্মের দোহাই দিয়ে সংকীর্ণ গন্ডিতে আবদ্ধ করতে কারণ আমরা সবাই জানি আমাদের এই বাঙালি জাতিকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জাতির মানুষরা যুদ্ধ বিগ্রহ চাপিয়ে দিয়ে করেছে বিভক্ত করেছ শাসন লুটেছে সম্পদ বাধিয়েছে দাঙ্গা করেছে প্রাণহানি ঠিক তেমনি একটা পরিবেশ তরী করেছিল এই দেশের এক শ্রেনীর সুবিধাবাদী ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্টি যেমন করে একদিন পাঞ্জাবিরা আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ হত্যা ধর্ষণের উত্সবের দাতভাঙ্গা জবাব দিয়ে বাঙালিরা পেয়েছিল বাংলাদেশ ! অবাক বিশ্বয়ে জগৎ দেখেছিল খন্ডিত করেও বাঙালিকে দমানো যায়নি হাজার বছরের বঞ্চিত নিপীড়িত জাতি মুজিব নামের এক আপসহীন পুরুষের হাত ধরে পেয়ছে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা যার জন্যে যুগযুগ ধরে আত্মহুতি দিয়েছে এজাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা একমাত্র মুক্তিযুদ্ধেই আমরা পাকি আর তাদের দাস রাজাকারদের হাতে প্রাণ দিয়েছে ত্রিশ লক্ষ বাঙালি নারী পুরুষ সম্ভ্রম হারিয়েছিল লক্ষ লক্ষ বাঙালি নারী ! পরাজিত সেই রাজাকার আলবদর আর তাদের দোসররা এবারের বর্ষবরণের উত্সবকে করেছিল অনিশ্চিত সেই '৭১ এর মত ধর্মাবরণে সৃষ্টি করেছিল সংকট যাতে বাঙালি পালন করতে না পারে তার প্রানের উত্সব কিন্তু বীর বাঙালি সকল ষড়যন্ত্র সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে পালন করলো ইতিহাসের সর্ব বৃহৎ সার্বজনীন বর্ষবরণ উত্সব !
জাহিদ ডাক্তার
১ লা বৈশাখ ১৪২০ বঙ্গাব্দ
১৪ ই এপ্রিল ২০১৩ খ্রি :
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন