রাজনীতি গণতন্ত্র পরিবারতন্ত্র ইত্যাদি ভাবনা

পূর্ব প্রকাশিতের পর :

এ পর্বের লেখার বিরতি একটু বেশি হয়ে গেল ; বলবনা এটা আমার অনিচ্চ্ছাকৃতত্রুটি বরং বলতে চাই ইচ্ছাকৃত বিলম্ব ! আমরা জানি কবিতা কিংবা সাহিত্যের কাল বিভিন্ন পর্বে ভাগকরা হয় যেমন সাহিত্য আলোচনায় অনেকে রবীন্দ্র পূর্ব ও রবীন্দ্র উত্তর ইত্যাদির উল্লেখ করেছেন এছাড়া আদি, মধ্যযুগ ; প্রাক আধুনিক আধুনিক বিভিন্ন যুগের উল্লেখ দেখা যায় ! তেমনি ইতিহাসে বিশেষ করে ভারত বর্ষের ইতিহাসে প্রাক মুঘল মুঘল ইংরাজ পাকিস্থান সৃষ্টি ইত্যাদি বিভক্তি সংগত কারণে ইতিহাসবিদগণ আলোচনার সুবিধার জন্যই যে ব্যবহার করেছেন তা আমার মনে হয়না বরং ইতিহাস রচিত হবার সমশামিক কালে এমনকি ওই ঘটনা সমূহের সুবিধা ভোগী মানুষের সমাজে প্রতিষ্ঠিত থাকা কালীন সময় প্রকৃত ইতিহাস লিপিবদ্ধ এবং নিরপেক্ষ সমালোচনা করে লিপিবদ্ধ করাও সম্ভব নয় ! এমনকি তত্কালীন বিশ্ব পরিস্থিথিও আমলে না নেয়ার কারণ দেখিনা অনেকটা এমন বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে আমিও আলোচনাটার সাময়িক বিরতিটি দিয়েছি ! যদিও পাঠক লক্ষ্য করে থাকবেন ইত্যবসরে সমশামৈক ঘটনার প্রতিফলন আমার লেখাতে ছিল ! তবে আমার লেখার নিবিষ্ট পাঠকদের প্রতিক্রিয়া আমার দৃষ্টি এড়িয়ে যায়নি বরং সমালোচনা গুলি আমার লেখাকে অনুপ্রানিত ও অধিকতর মনোযোগী হতে সাহায্য করেছে !
একজন বিদগ্ধ পাঠক আমার ধীর গতির লেখাতে উষ্মা প্রকাশ করেছেন ! অন্য একজন আমার লেখার একনিষ্ঠ পাঠ্যক অনেকটা ভিন্নমতের অবতারনাও করেছেন যা আমার দৃষ্টি এড়িয়ে যায়নি তার বক্তব্য যতদুর আমি বুঝেছি তিনি বলতে চেয়েছেন ইংরেজ শাসন ভারতে প্রকৃত পক্ষে আশির্বাদ এবং তা আরো দীর্ঘ সময় অব্যহত থাকলে ভারতবর্ষের উন্নয়ন হত ! আমি সবিনয়ে বলতে চাই - ইংরাজ ভারতবর্ষে তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দে মুগলদের নবাব সিরাযুদৌল্লার পলাশীর প্রান্তরে পরাজিত করে আর ওই পরাজয় যতটা সামরিক তারচেয়ে বড় কারণ নিকট আত্তীয় মীর জাফর আলী খানের বিশ্বাস ঘাতকতার ফল যা উপমহাদেশে কারো অজানা নেই ! একটা বিষয় লক্ষ্য করার মত তা হটছে ইংরেজদের আগে ভারতবর্ষ আরো বিদেশী শক্তি অনুপ্রবেশ করেছে যেমন পাঠান তুর্কি মুঘলদের মতই তবে ইংরাজদের সাথে তাদের পার্থক্য এই যে তারা এসেছিল ভারতবর্ষে বসবাস করতে ! পক্ষান্তরে ইংরাজ এসেছিল লুণ্ঠনের উদেশ্শে যার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটে ১৮৫৮ সালর ২ রা আগস্ট যেদিন থেকে কোম্পানির পরিবর্তে ব্রিটিশ রাজের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে যায় ভারতবর্ষ ! অন্যরা যেখানে নিজেরাই ভারতীয় বনেযান সেখানে ইংরাজরা নিজ নিজ শ্রেণী গোষ্টির স্বার্থ চরিতার্থ করেন লুণ্ঠনের মাধ্যমে ! কার্ল মার্কস এর ভাষায় এরা হিন্দু ভুত না হয়ে প্রতিষ্ঠা করলো নিজেদের লুন্ঠন বৃত্তির চরিতার্থ করার উপযোগী রাষ্ট্রীয় কাঠামো যার অস্তিত্ব উপমহাদেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে আজও বিদ্যমান ! ইংরাজরা পলাশীর যুদ্ধের পর পুতুল নবাব মীরজাফরের কাছ থেকে যুদ্ধের খরচ বাবদ তিন কোটি শিক্কা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মাধ্যমে ! আর এর পাশাপাশি কোম্পানির কর্মচারীরা পরবর্তী নয় বছরে আরো পাঁচ কোটি টাকা নিজদেশে নিয়ে যায় আর সঙ্গে বাংলার রাজস্য তো ছিলই ! যার ফলে ভারতবর্ষে তখনকারদিনে সবথেকে ঐসর্জশালী রাজ্য বাংলা খুব দ্রুত সম্পদহীন রাজ্যে পরিনত হয় ! ১৭৭০ সালে যে দুর্ভিক্ষ হয় যা ছিয়াত্তরের মন্নন্তর নামে পরিচিত সেই দুর্ভিক্ষে বাংলার তিন কোটি মানুষের এক কোটি মানুষ মারাযায় যার কারণ ব্রিটিশদের লাগামহীন অর্থ লিপ্সা এমনকি তারা এতই নির্মম ছিল যে দুর্ভিক্ষের পরের বছর আরো ১০% রাজস্য বাড়িয়ে দেয় ! খাজনা প্রাপ্তির নিশ্চয়তার জন্য ১৭৭৩ সালে চিরস্থাই বন্দোবস্তের প্রবর্তন করা হয় !..........চলবে

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

poltitubeinternational