রাজনীতি গণতন্ত্র পরিবারতন্ত্র ইত্যাদি ভাবনা
পূর্ব প্রকাশিতের পর :
পাঠক মনেহয় লক্ষ করে থাকবেন ধান বানতে শিবের গীত বেশি গাওয়া হয়ে গেছে রাজনীতি গণতন্ত্র সম্মন্ধে বলতে শুরুকরে ধর্ম সম্মন্ধে অনেক কথা বলে ফেলছি ! তাই আজ সরাসরি রাজনীতি নিয়ে কথা বলব ! আমি একজন মেডিকেল গ্রাজুয়েট খুব ভালো রাজনীতির কথা লিখতে পারব তা মনে করিনা তবে রাজনীতি একটা সর্ববেপি বিষয় বলে এই সাহস করা ! অনেকটা ধর্মের মতই ! সমাজে সংসারে আপনি যে পেশার মানুষ হননা কেন আপনাকে ধর্ম জানতে হবে মানা না মানা আপনার বেক্তিগত বেপার হলেও না জানলে আপনার জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়তে পারে আপনি হয়ত অজ্ঞাতে কোনো কথা বলে ফেললেন তা হয়ত কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে চলে গেল আর যে বেক্তির সামনে কথাটি বললেন তিনিযোদী কোনো ধর্মের মানুষ হয়ে থাকেন এবং কোনো প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকেন তাহলে তিনি আপনাকে মুরতাদ ঘোষণা করে ফেলতে পারেন অথবা আপনার মৃত্যুদন্ড ঘোষণা করে মস্তক কেটে ফেলার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করে ফেলতে পারেন ! তাই আমার মনে হয় ধর্ম ও রাজনীতি সম্মন্ধে সম্মক ধারণা না থাকলে আপনার জীবন অযথাই সংকটাপন্ন হয়ে পড়তে পারে !
রাষ্ট্র বিজ্ঞানের ভাষায় রাজনীতি কাকে বলে আমার অনুপুন্খ সংগা জানা নাই তবে আমর ধারণা রাজ্য পরিচালনা করার নীতিকে রাজনীতি বললে খুব ভুল হবার সম্ভাবনা নাই ! আদিতে ধর্মের মত রাজনীতিও রাজার নীতি কেই বোঝা হত ! পরবর্তিতে ধর্ম যখন বিকশিত হলো রাজনীতিও তেমনি বিকাশ লাভ করলো মানে ধর্ম শুধু রাজাদের পালিত ধর্ম থেকে থেকে প্রজাদের মধ্যে এসে পড়ল ! প্রজারাও রাজদের মত ধর্ম আর রানীতি নিয়ে চিন্তা করতে শুরু করলো ! রাজার উত্তরাধিকারী রাজ পরিবার থেকে হওয়ার রীতি আদিতেই ছিল কারণ তখন রাজারা প্রজাদের মত কোনো মানুষ হিসাবে গণ্য হতেননা তারা গণ্য হতেন উচু শ্রেনীর মানুষ হিসাবে আর প্রজারা নিম্ন শ্রেনীর মানুষ হিসাবে ! বিশেষকরে ধর্ম বিকশিত হবার পর যখন ধর্ম সমূহ বলতে শুরু করলো সকল মানুষের পরকালের শাস্তি নির্ধারিত হবে একই নৈতিকতার মাপকাঠিতে সেখনে মূলত বিচার হবে পাপ পুন্যের রাজা হিসাবে আলদা সুযোগ সুবিধা পাউয়ার সুযোগ সেখানে থাকবে না ! তেমনি সমাজেও এর প্রভাব পড়ল মানুষ বিশেষ করে জ্ঞান বিজ্ঞান মানুষকে নতুন নাগরিক চিন্তার সুযোগ করে দিল তারা তখন রাজার সিংহাসনে নিজেদের প্রতিনিধি প্রেরণ করতে চাইল শুরু হলো গণতান্ত্রিক চিন্তা ! কারণ রাজপরিবারের বাইরে কাউকে রাজা অর্থাত শাসক নির্বাচন করতে হলে সাধারণ মানুষের মধ্যে যিনি বেশি গ্রহণযোগ্য তাকে নির্বাচিত করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল ! আমার মনে হয় এভাবেই মানুষের মধ্যে গণতান্ত্রিক চেতনার উন্মেষ ঘটে ! প্রথমদিকে মানুষের মধ্যে ধর্মীয় নেতারা অধিকতর উন্নত নৈতিক চরিত্রের অধিকারী ছিলেন বিশেষ করে যারা ধর্মীয় মূল্যবোধে বেশি উদ্বুদ্ধ থাকত তারাই সমাজে অনুকরণীয় চরিত্রের অধিকারী থাকতেন ! তারা নিজে ধর্ম পালন করে অন্যকে পথ দেখাতেন তাই ধর্মীয়নেতারাই সমাজের / গোত্রের তথা রাট্রের কর্তা বা কর্তা সমষ্টি রাজ সিংহাসনের অধিকারী হতে লাগলেন ! দেখাগেল উত্তরাধিকারী এই ধর্মীয় নেতারা রাজাদের উত্তরাধিকারী শাসকদের চেয়ে বেশি গণ সম্পর্ক বা যোগাযোগকারী কিংবা সরাসরি সাধারণ মানুষের আস্থা ভাজন বাক্তি রাষ্ট্র চালানোর সুযোগ / অধিকার পেতে লাগলেন ! সাধরণের মতের প্রতিফলন রাজনীতিতে দেখা যেতে লাগলো যদিও এই ধর্মীয় নেতারা অধিকাংশ সময় নিজ ধর্মের অনুশাসন চাপিয়ে দেবার বেপারে অধিক আগ্রহী থাকতেন তবুও সত্যবাদী হিসবে পরিচিত থাকার কারণে এই সমস্ত নেতৃত্ব পূর্ববর্তী বংশ পরম্পরা রাজাদের চেয়ে ধর্মীয় নেতারা অধিক সাফল্যের সঙ্গে সরকার চালাতে সক্ষম হলেন ! এখানে আমি কোনো বিশেষ ধর্মের নাম উল্লেখ করছিনা ইচ্ছে করেই কারণ পৃথিবীতে ধর্মের সংখ্যা অনেক তাই প্রত্যেকটি ধর্মের নামই হয়ত আমি বলতে পারবনা তা ছাড়া প্রতিটি ধর্মই আবার বিভিন্ন উপদলে বিভক্ত থাকার কারণে লেখার কলেবর বৃদ্ধি হয়ে গেলে পাঠক ধৈর্য হারা হবার সম্ভাবনা থাকে ! তবে আমি পূর্বেই উল্লেখ করেছি মূলনীতির দিকদিয়ে অধিকাংশ ধর্ম যেহেতু ব্যাপক কোনো রাষ্ট্রীয় নীতি পার্থক্য দৃশ্য মান হয়নি তাই আমার লক্ষ কোনো ধর্মের নাম উল্লেখ না করে লেখাটা এগিয়ে নেয়া !............চলবে
পূর্ব প্রকাশিতের পর :
পাঠক মনেহয় লক্ষ করে থাকবেন ধান বানতে শিবের গীত বেশি গাওয়া হয়ে গেছে রাজনীতি গণতন্ত্র সম্মন্ধে বলতে শুরুকরে ধর্ম সম্মন্ধে অনেক কথা বলে ফেলছি ! তাই আজ সরাসরি রাজনীতি নিয়ে কথা বলব ! আমি একজন মেডিকেল গ্রাজুয়েট খুব ভালো রাজনীতির কথা লিখতে পারব তা মনে করিনা তবে রাজনীতি একটা সর্ববেপি বিষয় বলে এই সাহস করা ! অনেকটা ধর্মের মতই ! সমাজে সংসারে আপনি যে পেশার মানুষ হননা কেন আপনাকে ধর্ম জানতে হবে মানা না মানা আপনার বেক্তিগত বেপার হলেও না জানলে আপনার জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়তে পারে আপনি হয়ত অজ্ঞাতে কোনো কথা বলে ফেললেন তা হয়ত কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে চলে গেল আর যে বেক্তির সামনে কথাটি বললেন তিনিযোদী কোনো ধর্মের মানুষ হয়ে থাকেন এবং কোনো প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকেন তাহলে তিনি আপনাকে মুরতাদ ঘোষণা করে ফেলতে পারেন অথবা আপনার মৃত্যুদন্ড ঘোষণা করে মস্তক কেটে ফেলার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করে ফেলতে পারেন ! তাই আমার মনে হয় ধর্ম ও রাজনীতি সম্মন্ধে সম্মক ধারণা না থাকলে আপনার জীবন অযথাই সংকটাপন্ন হয়ে পড়তে পারে !
রাষ্ট্র বিজ্ঞানের ভাষায় রাজনীতি কাকে বলে আমার অনুপুন্খ সংগা জানা নাই তবে আমর ধারণা রাজ্য পরিচালনা করার নীতিকে রাজনীতি বললে খুব ভুল হবার সম্ভাবনা নাই ! আদিতে ধর্মের মত রাজনীতিও রাজার নীতি কেই বোঝা হত ! পরবর্তিতে ধর্ম যখন বিকশিত হলো রাজনীতিও তেমনি বিকাশ লাভ করলো মানে ধর্ম শুধু রাজাদের পালিত ধর্ম থেকে থেকে প্রজাদের মধ্যে এসে পড়ল ! প্রজারাও রাজদের মত ধর্ম আর রানীতি নিয়ে চিন্তা করতে শুরু করলো ! রাজার উত্তরাধিকারী রাজ পরিবার থেকে হওয়ার রীতি আদিতেই ছিল কারণ তখন রাজারা প্রজাদের মত কোনো মানুষ হিসাবে গণ্য হতেননা তারা গণ্য হতেন উচু শ্রেনীর মানুষ হিসাবে আর প্রজারা নিম্ন শ্রেনীর মানুষ হিসাবে ! বিশেষকরে ধর্ম বিকশিত হবার পর যখন ধর্ম সমূহ বলতে শুরু করলো সকল মানুষের পরকালের শাস্তি নির্ধারিত হবে একই নৈতিকতার মাপকাঠিতে সেখনে মূলত বিচার হবে পাপ পুন্যের রাজা হিসাবে আলদা সুযোগ সুবিধা পাউয়ার সুযোগ সেখানে থাকবে না ! তেমনি সমাজেও এর প্রভাব পড়ল মানুষ বিশেষ করে জ্ঞান বিজ্ঞান মানুষকে নতুন নাগরিক চিন্তার সুযোগ করে দিল তারা তখন রাজার সিংহাসনে নিজেদের প্রতিনিধি প্রেরণ করতে চাইল শুরু হলো গণতান্ত্রিক চিন্তা ! কারণ রাজপরিবারের বাইরে কাউকে রাজা অর্থাত শাসক নির্বাচন করতে হলে সাধারণ মানুষের মধ্যে যিনি বেশি গ্রহণযোগ্য তাকে নির্বাচিত করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল ! আমার মনে হয় এভাবেই মানুষের মধ্যে গণতান্ত্রিক চেতনার উন্মেষ ঘটে ! প্রথমদিকে মানুষের মধ্যে ধর্মীয় নেতারা অধিকতর উন্নত নৈতিক চরিত্রের অধিকারী ছিলেন বিশেষ করে যারা ধর্মীয় মূল্যবোধে বেশি উদ্বুদ্ধ থাকত তারাই সমাজে অনুকরণীয় চরিত্রের অধিকারী থাকতেন ! তারা নিজে ধর্ম পালন করে অন্যকে পথ দেখাতেন তাই ধর্মীয়নেতারাই সমাজের / গোত্রের তথা রাট্রের কর্তা বা কর্তা সমষ্টি রাজ সিংহাসনের অধিকারী হতে লাগলেন ! দেখাগেল উত্তরাধিকারী এই ধর্মীয় নেতারা রাজাদের উত্তরাধিকারী শাসকদের চেয়ে বেশি গণ সম্পর্ক বা যোগাযোগকারী কিংবা সরাসরি সাধারণ মানুষের আস্থা ভাজন বাক্তি রাষ্ট্র চালানোর সুযোগ / অধিকার পেতে লাগলেন ! সাধরণের মতের প্রতিফলন রাজনীতিতে দেখা যেতে লাগলো যদিও এই ধর্মীয় নেতারা অধিকাংশ সময় নিজ ধর্মের অনুশাসন চাপিয়ে দেবার বেপারে অধিক আগ্রহী থাকতেন তবুও সত্যবাদী হিসবে পরিচিত থাকার কারণে এই সমস্ত নেতৃত্ব পূর্ববর্তী বংশ পরম্পরা রাজাদের চেয়ে ধর্মীয় নেতারা অধিক সাফল্যের সঙ্গে সরকার চালাতে সক্ষম হলেন ! এখানে আমি কোনো বিশেষ ধর্মের নাম উল্লেখ করছিনা ইচ্ছে করেই কারণ পৃথিবীতে ধর্মের সংখ্যা অনেক তাই প্রত্যেকটি ধর্মের নামই হয়ত আমি বলতে পারবনা তা ছাড়া প্রতিটি ধর্মই আবার বিভিন্ন উপদলে বিভক্ত থাকার কারণে লেখার কলেবর বৃদ্ধি হয়ে গেলে পাঠক ধৈর্য হারা হবার সম্ভাবনা থাকে ! তবে আমি পূর্বেই উল্লেখ করেছি মূলনীতির দিকদিয়ে অধিকাংশ ধর্ম যেহেতু ব্যাপক কোনো রাষ্ট্রীয় নীতি পার্থক্য দৃশ্য মান হয়নি তাই আমার লক্ষ কোনো ধর্মের নাম উল্লেখ না করে লেখাটা এগিয়ে নেয়া !............চলবে
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন