রাজনীতি গণতন্ত্র পরিবারতন্ত্র ইত্যাদি ভাবনা

পূর্ব প্রকাশিতের পর :

ধর্ম শব্দের উত্পত্তি সংস্কৃত ধ্রী ধাতু থেকে ( ধ তে রি কার হবে ) ধ্রী মানে ধারণ করা ! সত্যিকার অর্থে ধর্ম বলতে আমি বুঝি জগতের স্রষ্টা ও নীয়ন্ত্রা এক পরম অতিন্দ্রীয় সত্তা যাকে মানুষ আল্লাহ , খোদা , ঈশ্বর , গড যেকোনো একনামে বিশ্বাস করে ! এই পরম সত্তাই মানুষের ভাগ্য ও জগতের গতি প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করে ! ইংরাজি রিলিজিওন শব্দটি রিলিজিও ধাতুমূল থেকে এসেছে রিলিজিও মানে যুক্ত করা ! তাহলে দাড়ায় ধর্মে যেমন রেলিজীয়নেও তেমনি স্রষ্ঠাকে সৃষ্টির সাথে যুক্ত করে মানুষকে ধর্মের মাধমে প্রকৃত কল্যাণকর দিকনির্দেশ দেয়া ! সরল ভাবে ধর্মকে আমরা মানব কল্যাণে স্রষ্ঠার নির্দেশিত পথে নিজেকে পরিচালিত করা বললে সবার বুঝতে সহজ হবে বলে আমার মনে হয় ! এ ছাড়া ধর্মের অন্য এক বেক্ষাও করা হয়ে থাকে যাকে বলা যেতে পারে স্বভাব যেমন সুর্য আলো ও তাপ বিকিরণ করে সিংহ পশুর মতই আচরণ করে পানি মানুষ অনন্য প্রাণীর তৃষ্ণা মেটায় তেমনি মানুষের ধর্মে হবে মানব কল্যাণ মানুষকে মানুষই ভাববে তার নিজের মতই একজন সে পশু কিংবা মানুষের অধম কোনো প্রাণী নয় !
তাই আমরা খুব সহজেই অনুমান করতে পারি মানুষের জাতাভিমান বর্ণবাদিতা কিংবা ধর্মে ধর্মে বিভেদ সৃষ্টিকারী মানুষগুলির মানবিক গুনাবলীর যথেষ্টই অভাব রয়েছে ! কারণ পৃথিবীর সকল ধর্মই মেনেনিয়াছে আরো অন্য ধর্মে আছে ; হয়ত সে মনে করতে পারে তার ধর্মের চেয়ে অন্য ধর্মে সমূহ তত উন্নত নয় ! মনে করি একটা ক্লাস এ ৫০ জন ছাত্র আছে ৫০ তম ছাত্রটিও কিন্তু ওই ক্লাশেই একজন ছাত্র ! সে কিন্তু অশিক্ষিত অন্ধ কেউ নয় ! তাই আমরা অন্যধর্মের কোনো মানুষকে শুধু বিধর্মী অপরাধে তুচ্ছ তাস্চ্ছিল কিবা নিপীড়ন করি করি তাকে প্রাপ্পো থেকে বঞ্চিত তবেত আমরা মানুষই নয় ধার্মিকত অনেক পরের কথা ! সুতরাং সাম্প্রদায়কতার উর্ধে যারা উঠতে পারবেনা তারাতো মানুষ নামেরই অযোগ্য !.......চলবে

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

poltitubeinternational