রাজনীতি গণতন্ত্র পরিবারতন্ত্র ইত্যাদি ভাবনা
পূর্বপ্রকাশিতের পর :
আমি আমার লেখাতে উপমহাদেশের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর মূলকারিগর ইংরাজ বলাতে অনেকে দ্বিমত করেছেন ! ব্রিটিশ কেই দায়ী করার কারণ এইধরনের উপনিবেশের অধিকারী পুর্তগিজরাও ছিল ছিল তাদের শাসনের নানান কৌশল ! আজ আর পৃথিবীতে সরাসরি উপনিবেশের সুযোগ নেই ! তবে উপমহাদেশে ব্রিটিশরা হিন্দু মুছলমানের মধ্যে যে পারস্পরিক হিংসার অনেকটা স্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে গেছেন ! কিন্তু সাম্প্রদায়িক ঘৃণার যে বিশ বৃক্ষ দুটি ভিন্ননামে ভারতবিভক্তি যেন টেম্পলেট সৃষ্টির কারখানা কারণ নাম যখন হিন্দুস্থান পাকিস্থান সেখনে মুছলমানের ভারত বিদ্বেষ আর হিন্দুদের পাকিস্তান বিরোধিতা চরিত্রের সৃষ্টি সহায়ক হয় !
আমার লেখা কালীন বিরতির সময়ে আমাদের বাংলাদেশে ভয়ানক ঘটনা ঘটেছে বা ঘটানো হয়েছে যাতে মুছলমান হিসবে আমি লজ্জিত যদিও ঘটনাতে সাম্প্রদায়িক উস্কানির যোগানদাতারা আমাদের মাতৃভূমিকে অনেকবার কলংকিত করার চেষ্টা করেছে আজও করে যাচ্ছে ! জন্মগত ভাবে উপমহাদেশের আদিবাসিন্দারা সনাতন ধর্মাবলম্বী তারা প্রকৃত পক্ষে না হিন্দু না বৌদ্ধ নয় মুছলমান আমার এই কথা বলার কারণ এই যে আজকে অনেকেই হিন্দু ধর্মকে সনাতন ধর্ম বলেমনেকরেন প্রকৃত পক্ষে উপনিষদের ঋষিদের ধর্মাচারের সাথে বাঙালি হিন্দুদের ধর্ম পালনের রীতি একনয় তারা এক ঈশ্বরের প্রাথনা করতেন কিন্তু মূর্তি পূজা করতেননা ! তারপর এখনো দেখাযায় সনাতন ধর্মের লোকেরা বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন দেবদেবীকে মুক্ষকরে ধর্মীয় উত্সব আচার পালন করে ! যেমন বাঙালি হিন্দুরা যে শারদীয় দুর্গোত্সব পালন করে এই উপমহাদেশের অন্যকোন অঞ্চলের হিন্দুরা সেভাবে এই উত্সব পালন করেনা !
বৌদ্ধ ধর্ম এই উপমহাদেশের আদি ধর্মের একটি বলা যায় এই উপমহাদেশে এর জন্ম ও বিকাশ যদিও এই ধর্মাবলম্বী মানুষের সংখ্যা অনেক কম এর চেয়ে বহুগুনে রয়েছে চীন জাপান বার্মা থাইল্যান্ড ভিয়েতনাম ইত্যাদি দেশে ! পৃথিবীতে অধিকাংশ ধর্মের বিকাশ হয়েছে রক্তখই যুদ্ধ বিগ্রহের মাধ্যমে কিন্তু বৌদ্ধ ধর্মের বিকাশে কোনো রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়নি যদিও পৃথিবীতে সবথেকে বেশি মানুষ এই ধর্মাবলম্বী ! আমার জীবনে বিভিন্ন ধর্মীয় উত্সব উদযাপনের সৌভাগ্য হয়েছে তাই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষের সাথে ফানুস উড়ানোতে অংশীদার হবার সুযোগ হয়েছিল ! কিন্তু পত্রিকাতে দেখলাম রামু ও অনন্য স্থানে বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার প্রতিবাদে বাংলার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষ এবছর সেই ফানুস ওরাবেনা প্রতিবাদ স্বরূপ ! আমার মনে আছে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বছর বাংলাদেশে কিছু ধর্মান্ধ মুছলিম বেশ কিছু মন্দিরে হামলা করে তার প্রতিবাদে দুর্গাপূজার বদলে প্রতিবাদ সরূপ ঘট পূজা করেছিল ! সেই নিরানব্দ দুর্গাপুজাতে আমার অনেক কষ্ট হয়েছিল তেমনি বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বছর ঈদ উজ্জাপনেও আমরা ছিলাম ব্যথিত ! কিন্তু কারা করে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি কি তাদের উদ্দেশ্য ? কেন এসবের সুষ্ঠ বিচার হয়না ?...........চলবে
পূর্বপ্রকাশিতের পর :
আমি আমার লেখাতে উপমহাদেশের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর মূলকারিগর ইংরাজ বলাতে অনেকে দ্বিমত করেছেন ! ব্রিটিশ কেই দায়ী করার কারণ এইধরনের উপনিবেশের অধিকারী পুর্তগিজরাও ছিল ছিল তাদের শাসনের নানান কৌশল ! আজ আর পৃথিবীতে সরাসরি উপনিবেশের সুযোগ নেই ! তবে উপমহাদেশে ব্রিটিশরা হিন্দু মুছলমানের মধ্যে যে পারস্পরিক হিংসার অনেকটা স্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে গেছেন ! কিন্তু সাম্প্রদায়িক ঘৃণার যে বিশ বৃক্ষ দুটি ভিন্ননামে ভারতবিভক্তি যেন টেম্পলেট সৃষ্টির কারখানা কারণ নাম যখন হিন্দুস্থান পাকিস্থান সেখনে মুছলমানের ভারত বিদ্বেষ আর হিন্দুদের পাকিস্তান বিরোধিতা চরিত্রের সৃষ্টি সহায়ক হয় !
আমার লেখা কালীন বিরতির সময়ে আমাদের বাংলাদেশে ভয়ানক ঘটনা ঘটেছে বা ঘটানো হয়েছে যাতে মুছলমান হিসবে আমি লজ্জিত যদিও ঘটনাতে সাম্প্রদায়িক উস্কানির যোগানদাতারা আমাদের মাতৃভূমিকে অনেকবার কলংকিত করার চেষ্টা করেছে আজও করে যাচ্ছে ! জন্মগত ভাবে উপমহাদেশের আদিবাসিন্দারা সনাতন ধর্মাবলম্বী তারা প্রকৃত পক্ষে না হিন্দু না বৌদ্ধ নয় মুছলমান আমার এই কথা বলার কারণ এই যে আজকে অনেকেই হিন্দু ধর্মকে সনাতন ধর্ম বলেমনেকরেন প্রকৃত পক্ষে উপনিষদের ঋষিদের ধর্মাচারের সাথে বাঙালি হিন্দুদের ধর্ম পালনের রীতি একনয় তারা এক ঈশ্বরের প্রাথনা করতেন কিন্তু মূর্তি পূজা করতেননা ! তারপর এখনো দেখাযায় সনাতন ধর্মের লোকেরা বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন দেবদেবীকে মুক্ষকরে ধর্মীয় উত্সব আচার পালন করে ! যেমন বাঙালি হিন্দুরা যে শারদীয় দুর্গোত্সব পালন করে এই উপমহাদেশের অন্যকোন অঞ্চলের হিন্দুরা সেভাবে এই উত্সব পালন করেনা !
বৌদ্ধ ধর্ম এই উপমহাদেশের আদি ধর্মের একটি বলা যায় এই উপমহাদেশে এর জন্ম ও বিকাশ যদিও এই ধর্মাবলম্বী মানুষের সংখ্যা অনেক কম এর চেয়ে বহুগুনে রয়েছে চীন জাপান বার্মা থাইল্যান্ড ভিয়েতনাম ইত্যাদি দেশে ! পৃথিবীতে অধিকাংশ ধর্মের বিকাশ হয়েছে রক্তখই যুদ্ধ বিগ্রহের মাধ্যমে কিন্তু বৌদ্ধ ধর্মের বিকাশে কোনো রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়নি যদিও পৃথিবীতে সবথেকে বেশি মানুষ এই ধর্মাবলম্বী ! আমার জীবনে বিভিন্ন ধর্মীয় উত্সব উদযাপনের সৌভাগ্য হয়েছে তাই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষের সাথে ফানুস উড়ানোতে অংশীদার হবার সুযোগ হয়েছিল ! কিন্তু পত্রিকাতে দেখলাম রামু ও অনন্য স্থানে বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার প্রতিবাদে বাংলার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষ এবছর সেই ফানুস ওরাবেনা প্রতিবাদ স্বরূপ ! আমার মনে আছে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বছর বাংলাদেশে কিছু ধর্মান্ধ মুছলিম বেশ কিছু মন্দিরে হামলা করে তার প্রতিবাদে দুর্গাপূজার বদলে প্রতিবাদ সরূপ ঘট পূজা করেছিল ! সেই নিরানব্দ দুর্গাপুজাতে আমার অনেক কষ্ট হয়েছিল তেমনি বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বছর ঈদ উজ্জাপনেও আমরা ছিলাম ব্যথিত ! কিন্তু কারা করে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি কি তাদের উদ্দেশ্য ? কেন এসবের সুষ্ঠ বিচার হয়না ?...........চলবে
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন