রাজনীতি গণতন্ত্র পরিবারতন্ত্র ইত্যাদি ভাবনা

পূর্ব প্রকাশিতের পর :

মধ্যে অনেক বেশী বিরতি হয়ে গেল পাঠকের মনেরাখা কঠিন পূর্বের কথা ! আমারও মনে থাকেনা তাই এই লিখে রাখা ! আমি যেহেতু পেশাদার লেখক নই তাই এমন হতছে অনেকটা সেই জেনারেলদের রাজনীতির মত যারা দেশের অতন্দ্র প্রহরী আর তাদের অতিরিক্ত দায়িত্ব রাজনীতি করা ! যা কেবল দেখাযায় আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশ গুলিতে যেখানে আগে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল তারপর দল গঠন ! ফলাফল সেই কিচ্ছা ভারত পাকিস্তান দেশ ভাগের পর ভারত শাসিত হতে লাগলো রাজনীতিকদের দিয়ে আর পাকিস্তান জেনারেলদের দিয়ে আর তাই আল্লার আশির্বাদ পেল হিন্দুস্থান আর পাকিস্তান মার্কিনিদের আশির্বাদে চলতে থাকলো ! আমাদের বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর মাত্র কয়েক বছর রাজনীতিকদের শাসনে থাকার পর সেই পাকিস্তানী ঐতিহ্য জেনারেলতন্ত্র গণতন্ত্র বুটের নিচে ! অনেকটা রক্ষক ভক্ষকের মত আর উন্নত গণতান্ত্রিক দেশ গুলো তাদের ঈমানী দায়িত্ব পালন করতে লাগলেন !
অন্ধের হস্তি দর্শনের মত আমরা আমজনতা ফ্রুট পান করে আমের স্বাদ ভুলতে বসেছি ! দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে শুরু হলো ক্যাডারতন্ত্র শিক্ষকরা বলতে শুরু করলেন মারহাবা মারহাবা ! ছাত্রদের পড়াতে হবেনা শুধু সরকারী দলের নেতাদের তোষামোদী করলেই যথেষ্ট তাই যে ঘটনা মুঘল আমলে ঘটেনি পাকিদের সময়ও সম্ভব হয়নি তাই চলতে লাগলো স্বাধীন দেশে ! মধ্য যুগিও চরদখলের মত হল দখলের রাজনীতি চলতে লাগল দেশের সকল ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ! যে ছাত্ররা একদিন ভাষা আন্দোলন করেছে সামনের কাতারে ছিল উনসত্তরের গণ অভভুত্থানের মুক্তি যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করলো সুকৌশলে তাদের ঢুকিয়ে দেয়া হলো সিট দখলের রাজনীতিতে ! ফলাফল সবার জানা মেধাবীরা ছাত্ররাজনীতি এড়িয়ে চলতে লাগলো আর জেকে বসলো ছাত্রনামধারী অস্ত্রবাজদের নীতিবর্জিত অসুস্থ ধারা ! যে শিক্ষক ছিল সকল ছাত্রের অভিভাবক আদর্শ তারা হয়েগেলেন ছাত্রদের অনুগ্রহের পাত্র দলীয় পরিচয় হয়ে উঠলো মেধাবিকাশের প্রথম শর্ত ! একে একে মেধাবীরা কোনমতে শিক্ষা জীবন শেষ করে হতে থাকলো প্রবাসী আর অযোগ্য তশামদ্কারীরা দখল করলো শিক্ষকের আসন ! তাই আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা যার জন্যে ত্রিশ লক্ষ মানুষ প্রানদিলো তাকে বিদ্রুপ করার সাহস দেখালো সৌদিরাজতন্ত্রের অর্থে পালিত স্বাধীনতার পরাজিত ঘাতক দালালদের পালিত সন্তানরা ! শিক্ষা ব্যবস্থায় যুক্ত হলো নতুন অনুসঙ্গ কোচিং সংস্কৃতি যার একমাত্র উদ্দেশ্য বাণিজ্য ! অর্থ ছাড়া এখন ছাত্র যুব কোনো সংগঠন চালানো যায়না কারণ ছাত্রদের জীবন যাপনের ধরন পাল্টে গেছে তাই আয় রোজগারের পথ বলতে ওরা টেন্ডারবাজি করাযায় যাদের ছত্রছায়ায় থাকলে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয় ! হলে সিট বরাদ্দ আজও অস্ত্রধারী ছাত্র সংগঠনের ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এটা প্রথা হয়ে গেছে যেন ! কতৃপক্ষ সাধারণত কোনো সাধারণ নিয়ম প্রায় কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আজও কার্যকারী করতে পেরেছেন বলে শুনিনাই ! আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে আজকাল প্রশাসনিক দ্বায়িত্ব পান দলীয় শিক্ষকরা ! আমার ধারণা দেশের প্রতিটি শিক্ষাঙ্গনে মেধার / প্রয়োজন বিবেচনা করে হল সমূহে সিট বরাদ্দ দিবার প্রজনীয় পদক্ষেপ শিক্ষকরা গ্রহণ করতে পারলে ছাত্ররাজনীতি গৌরবের ধারায় ফিরতে পারবে আর দেশ পাবে দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতা ! ...........চলবে

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Early pregncy

poet

মুক্তিযুদ্ধ