রাজনীতি গণতন্ত্র পরিবারতন্ত্র ইত্যাদি ভাবনা

পূর্ব প্রকাশিতের পর :

ধর্ম যদিও ধর্মে ধর্মে যুদ্ধ করেছে কিন্তু ধর্ম এই হানাহানি অনুমোদন করেছে বলে আমার মনে হয়নি ! আর যখন রাষ্ট্র আধুনিক রূপ পায়নি তখন নতুন ধর্ম পালন করতে গিয়ে যুদ্ধ বিগ্রহে জড়িয়ে পরেছে কিন্তু আজকের সমাজে কোনো দেশেই নিজ নিজ ধর্ম পালনে রাষ্ট্র বাধা দিতছে দেখা যায়না ! কেউ কেউ বলতেচান ধর্মীয় আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে অনেক শাসক সুশাসন উপহার দিয়েছেন কিন্তু তারা কেউ পারিবারিক ঐতিহ্য নিয়ে রাষ্ট্র নায়ক হননি ! হযরত মুহাম্মেদ ( স : ) নতুন ভাবে ইসলাম ধর্ম পালন করতে গিয়ে স্বদেশ ছাড়তে বাধ্য হন পরবর্তিতে মক্কা বিজয়ের পর রাজ্যজয়ের নেশা তার মধ্যে দেখা যায়নি ! তাঁর উত্তরাধিকারী হিসাবে তাঁর জামাতা হজরত আলীকে করা হয়নি বরং গণতান্ত্রিক ভাবে হযরত আবু বকরকেই মনোনীত করা হয় তারই ধারাবাহিকতায় হযরত ওসমান তারপর হযরত ওমর নির্বাচিত হন আর তার সময়ই ইসলামী রাষ্ট্রের পূর্ণ বিকাশ দেখা যায় ! মানুষ রাষ্ট্রের প্রকৃত সুফল পায় ! হযরত আলীর শাসনামলের পর থেকেই মূলত অগণতান্ত্রিক গোষ্টি বা পারিবারিক খলিফা নির্বাচন শুরু হয় ! যদিও উমাইয়া শাসনামলে রাষ্ট্রকে গণতান্ত্রিক করতে যথেষ্ট সংস্কারের চেষ্টা করা হয় ! তার পর আব্বাসীয় শাসনামলে খ্রিস্টীয় আট শতকের মাঝামাঝি দ্বিতীয় আব্বাসীয় খলিফা মনছুরের সময় বিজ্ঞান দর্শন ও চিকিত্সা বিজ্ঞানের গ্রিক রচনাবলী আরবিতে অনুবাদ করা হয় ! ইসলাম তখন ইউরোপ পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভকরে বিশেষ করে স্পেন পর্যন্ত মুসলমানেরা তাদের অগ্রগতি প্রসারিত করতে পারে জ্ঞান বিজ্ঞানের আলোকে আলোকিত হবার কারণে ! যার ফলশ্রুতিতে খ্রিস্টানরাও তাদের ধর্মের সংস্কারে বাধ্য হয় শুরুহয় প্রটেস্টান্ট চিন্তার !
হযরত মুহাম্মদ ( স : ) নিজেও খ্রিস্টানদের গির্জায় ঘন্টা বাজাতে বাধা দেন নাই ! প্রত্যেকের ধর্ম পালনের অধিকার সকল উন্নত রাষ্ট্র মেনে নিয়েছে ! আর সমস্ত উন্নত রাষ্ট্র কারো ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করেনি ! পাকভারত উপমহাদেশ মুঘলরা পারিবারিক উত্তরাধিকারী সম্রাট প্রথা চালু করতে গিয়েই প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের ফলে ইংরাজদের কাছে পরাজিত হয় মানুষের ভাগ্গে জোটে পরাধীনতার শৃঙ্খল ! ইংরাজরা বিদায় বেলায় ধর্মের নামে কৃত্তিম রাষ্ট্র সৃষ্টির সুযোগ নেয় !............চলবে

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

poet

Early pregncy

poltitubeinternational